প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১০, ২০২৫, ২:১৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২৫, ৮:২৩ পি.এম
আমতলীতে লক্ষন দাসের হাতি দেখিয়ে নিরব চাঁদাবাজি

বরগুনার আমতলীতে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করতে দেখা গেছে। হাতির পিঠে বসে থাকা মাহুতের নির্দেশে উপজেলার সড়কগুলোতে লক্ষন দাসের হাতি দেখিয়ে চলাচল করা যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের কাছ থেকে এ চাঁদা তুলতে দেখা যায়। হাটবাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের থেকেও চাঁদা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন । এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।
আজ মঙ্গলবার(১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপরে আমতলী পৌরসভার বাঁধঘাট,বটতলা একেস্কুল সড়কসহ বিভিন্ন স্পটে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছে একটি হাতি। আর এ লক্ষন দাসের দেখিয়ে সাধারন মানুষদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অভিনব কায়দায় শতশত টাকা। এতে শুধু টাকা নিয়েই খ্যান্ত নয়। ভয় দেখিয়েও নিচ্ছে শিশুদের কাছ থেকে ও ১০ টাকা ৫ টাকা।
এতে ছাত্র/ ছাত্রীদের অভিভাবক,ড্রাইভার, পথযাত্রীসহ সকল দোকান পাটের কর্মচারী ও মালিকেরা এ অভিযোগ করেন।
পিঠে বসে থাকা একজন মাহুতের রহিমের ইঙ্গিতে হাতিটি সড়কে চলাচলকারী যানবাহন দেখলেই পথরোধ করে যাত্রী ও চালকদের সামনে শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দিলে শুঁড় সরাচ্ছে না। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে হাতির মাথায় আঘাত করে দিয়ে কৌশলে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে মাহুত।এক পর্যায় জোরপূর্বক টাকা নেয়ার অভিনব কৌশল করে হাতিয়ে নিচ্ছে শতশত টাকা।
এছাড়াও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন হাটবাজারে গিয়ে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে গিয়ে হাতি দিয়ে চাঁদা তুলছেন মাহুত।
এতে দোকান থেকে চাঁদা তোলা শেষে সড়ক বা রাস্তায় নেমে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করে এবং যানজটের সৃষ্টি হয়।
তাছাড়া যেই সড়ক দিয়ে হাতিটি যাচ্ছে ভয়ে সেখান দিয়ে পথচারী ও শিক্ষার্থীরা যেতে পারছে না। বিশেষ করে হাতির এমন কাণ্ডে সড়কের আশপাশে বাসিন্দাদের শিশুদের আতঙ্কিত হয়ে পড়তে দেখা গেছে।
মাদ্রাসায় পরুয়া শিশু রিসাদের আম্মু সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমি বাড়ি বাচ্চাকে নিয়ে আমতলী কওমি মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করি প্রতিনিয়ত।যাওয়ার পথে সামনে বিশাল বড় একটি হাতি শুঁড় এগিয়ে দেয়। আমি টাকা না দেওয়া পর্যন্ত সে শুঁড় সরাচ্ছিল না। পরে শুঁড়ের মাথায় ১০ টাকা গুঁজে দিয়ে চলে আসি।এতে বাচ্চারা ভয়ে কাঁপছে।
আমতলী একেস্কুল স্ট্যান্ডে মটর সাইকেল চালক মো: সুমন বলেন,কোথায় থেকে মাঝে মাঝে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করেন একটি চক্র। প্রতিটি দোকান থেকে চাঁদা তোলা হয়। টাকা না দিলে হাতি সরে না। অনেক সময় আবার ভাঙচুরও শুরু করে। তাই যা পারি তাই দিয়ে বিদায় দেই।
হাতির মাহুত রহিম বলেন, এটা লক্ষন দাসের হাতি।এ হাতি লালন-পালন করতে অনেক খরচ হয়। তাই বাধ্য হয়ে মানুষের কাছ থেকে কিছু টাকা তুলি। আমরা জোর করে কারো কাছ থেকে টাকা নেই না। যে যা খুশি হয়ে দেয়, তাই নেই।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আশরাফুল আলম বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার বিষয় কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিষ্ঠাতা চেয়াম্যান ও সম্পাদক : এইচ এম সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: আর এইচ এস সিদ্দিক (গাজীপুর),নির্বাহী সম্পাদক: শারমিন আক্তার পলি,
প্রধান বার্তা সম্পাদক:........
এস এম সিদ্দিকুর রহমান সম্পাদিত দৈনিক "কাগজের ডাক" নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত।
ওয়েব সাইড: www.dailykagojerdak.Com, ইমেইল : kagojerd@gmail.com,ফোন নংঃ-+৮৮০৯৬৯৬০০৭৯১১,বার্তা সসম্পাদক ফোন:01622678073
★বিনা অনুমতিতে সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি★