একটি পাকা রাস্তার অভাবে বিবাহ ভেঙে যায় স্থানীয় মেয়েদের, সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দড়ি বাহেরচর গ্রামের প্রায় ৫ কিলোমিটারের কাঁচা সড়কটি পাকার করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। স্থানীয়রা জানান গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না জরুরি সেবার কোনো গাড়ি। এমনকি গোরস্থানে যেতেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এলাকাবাসীর। কাঁদা মাড়িয়েই স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা,ও মসজিদে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, আমখোলা বাজারের স্লুইজগেট থেকে কলাগাছিয়া খেয়াঘাটের রাস্তাটি মাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। তৎকালীন চেয়ারম্যান মরহুম ছালাম সিকদার স্থানীয়দের চলাচলে এই কাঁচা সড়কটি নির্মাণ করেন। স্বাধীনতার এত বছর পরও সংস্কার করা হয়নি রাস্তাটি। নির্বাচন আসলে জনপ্রতিনিধিরা ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পর তাদের দেখা মেলে না এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, আমরা সকলে মিলে একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার, প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দাবি জানিয়েছেন বার বার। কিন্তু কেউ কোনো কাজ করেননি এবং কেউ কোনো কথা রাখেনি তাই ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থানীয় সমাজ সেবক মোঃ আবু তাহের মৃধা বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম ছালাম সিকদার এই কাঁচা রাস্তাটি নির্মাণ করে দেন। সামান্য বৃষ্টিতে কিছু কিছু এলাকায় হাঁটু পর্যন্ত কাদা হয়ে যায়। এছাড়াও দুই পাশের মাঠের সব ফসল এই রাস্তা দিয়ে বাড়ি নিতে হয়। এই রাস্তা দিয়েই কৃষি পণ্য আমখোলা, গলাচিপা, পটুয়াখালী বাজারজাত করা হয়। আমাদের এ কষ্ট কবে দূর হবে তার কোনো ঠিক নেই। দড়ি বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমির রঞ্জন শীল বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। জরুরি সেবার কোনো গাড়ি বা যেকোনো গাড়ি গ্রামে প্রবেশ করতে পারে না। মুসলিম বা হিন্দু কেউ মারা গেলে কাঁদার কারণে সৎকার, দাফন-কাফনে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। যেতে হয় নদী পথে। অতি প্রাচীন রাস্তাটি পাকাকরণ এখন সময়ের দাবি। ওই এলাকার বাসিন্দা মো. ইদ্রিস খাঁন বলেন, আমখোলা বাজারের ওয়াপদার স্লুইসগেট থেকে দড়ি বাহেরচর হয়ে কলাগাছিয়া খেঁয়া ঘাট পর্যন্ত কাঁচা সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৃৃষ্টির দিনে রাস্তাটি ব্যবহারের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ভালো কোনো মেয়ে ছেলের জন্য বিবাহের প্রস্তাব আসে না। ভালো কোনো প্রস্তাব আসলেও কাঁচা রাস্তার কারনে ফিরে যায়।
এবিষয়ে আমখোলা ইউনিয়নের প্রশাসক মো. ফোরকান মোল্লা বলেন, রাস্তাটি অনেক পুরাতন, আমি নতুন এই ইউনিয়নের দায়িত্ব পেয়েছি। আমখোলা বাজার থেকে দড়ি বাহেরচর হয়ে কলাগাছিযা খেঁয়া ঘাটের রাস্তাটি পাকাকরণে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে। #
প্রতিষ্ঠাতা চেয়াম্যান ও সম্পাদক : এইচ এম সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: আর এইচ এস সিদ্দিক (গাজীপুর),নির্বাহী সম্পাদক: শারমিন আক্তার পলি,
প্রধান বার্তা সম্পাদক:........
এস এম সিদ্দিকুর রহমান সম্পাদিত দৈনিক "কাগজের ডাক" নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত।
ওয়েব সাইড: www.dailykagojerdak.Com, ইমেইল : kagojerd@gmail.com,ফোন নংঃ-+৮৮০৯৬৯৬০০৭৯১১,বার্তা সসম্পাদক ফোন:01622678073
★বিনা অনুমতিতে সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি★