
বাপ্পি, মেডিক্যাল প্রতিনিধি পটুয়াখালী:
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন বিএনপির একটি শক্ত ঘাঁটি—যেখানে জননেতা হাসান মামুন ভাইয়ের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মী সংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং দলীয় আদর্শে অবিচল। শহীদ জিয়ার চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ এই জনপদের নেতাকর্মীরা কখনোই ষড়যন্ত্রকারীদের বরদাশত করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।
সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর (ওরফে বিকাশ নুর) কর্তৃক পাঠানো সন্ত্রাসী বাহিনী চরবিশ্বাস ইউনিয়নে বিএনপির অফিসে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি শুধু বিএনপির অফিস নয়, শহীদ জিয়ার আদর্শ, গণতন্ত্র, এবং রাজনীতির শালীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।
যদিও ঐদিন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধে প্রস্তুত ছিলেন, তবুও জননেতা হাসান মামুন ভাইয়ের পরামর্শে সকলেই ধৈর্য ধারণ করেন। এটা বিএনপির রাজনৈতিক শিষ্টাচারের প্রমাণ যে প্রতিপক্ষের উত্তেজক আচরণের জবাব আমরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দেই।
কিন্তু সেই বিকাশ নুর, যে কিনা আজ বিএনপির বিরুদ্ধে এমন অশোভন আচরণ করছে, সে-ই নাকি আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এই আসন থেকে নির্বাচন করতে চায়! এটি কেবল হাস্যকরই নয়, পাগলামি। শহীদ জিয়ার সৈনিকরা বেঁচে থাকতে একজন দলের অফিসে হামলাকারীকে কখনোই মনোনয়ন পেতে দেবে না।
বিকাশ নুর যদি মনে করে থাকে, বিএনপির সাথে জোট করে সে আসন ভাগিয়ে নেবে, তবে সেটা তার মোহ। পটুয়াখালীর মাটি, দশমিনা-গলাচিপার বিএনপি, এবং জনতার মনন—এই তিনের সম্মিলিত শক্তির সামনে এমন দুঃসাহস কোনোদিনই টিকবে না। বিএনপির কর্মীরা আজও মনে করে, ওকে চাইলেই ঠ্যাং ভেঙে পাঠানো যেতো, কিন্তু নেতার নির্দেশের কারণে আমরা ধৈর্য ধারণ করেছি।
আর বিকাশ নুর নিজেকে জাতীয় নেতা দাবী করেন। সত্যি বলতে কি, সে হতে পারে ভিপি, হতে পারে মিডিয়ার মুখপাত্র—কিন্তু যে ব্যক্তি রাজনৈতিক সহনশীলতা, সম্মান ও নৈতিকতাবোধ রাখে না, সে নেতা নয়, এক অযোগ্য ব্যক্তি মাত্র। সার্টিফিকেট থাকতে পারে, কিন্তু রাজনৈতিক নৈতিকতার পরীক্ষায় সে আজও ফেল।
এই দুঃসাহসের জবাব পটুয়াখালীর বিএনপি কর্মীরা সময় মত দিয়ে দেবে—শান্তিপূর্ণভাবে, কিন্তু দৃঢ়ভাবে। শহীদ জিয়ার সৈনিকরা কখনো আদর্শের সাথে আপোষ করেনি, আজও করবে না।