ঢাকা ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এইমাত্র পাওয়াঃ
Logo গলাচিপায় মিথ্যে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo চেয়ারম্যান হতে মরিয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ মেম্বার সাঈদ! Logo গলাচিপায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo কোড়ালিয়া স্পীড বোট ঘাটে চাঁদার দাবিতে হামলা আহত ৩ Logo দুই শিশু নিখোঁজ, পাচারের অভিযোগে যুবক আটক Logo শাহজাদপুরে সাব্বির হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবনসহ ১৫ জনের কারাদণ্ড Logo গলাচিপায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি,প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট Logo আমতলীতে মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বানোয়াট সংবাদ প্রকাশে নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন Logo গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান সবুজ শারীরিকভাবে অসুস্থ — সুস্থতার জন্য দোয়ার আহ্বান Logo সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনসহ পুলিশের ১৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত
কাগজের ডাক:
Logo গলাচিপায় মিথ্যে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo চেয়ারম্যান হতে মরিয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ মেম্বার সাঈদ! Logo গলাচিপায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo কোড়ালিয়া স্পীড বোট ঘাটে চাঁদার দাবিতে হামলা আহত ৩ Logo দুই শিশু নিখোঁজ, পাচারের অভিযোগে যুবক আটক Logo শাহজাদপুরে সাব্বির হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবনসহ ১৫ জনের কারাদণ্ড Logo গলাচিপায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি,প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট Logo আমতলীতে মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বানোয়াট সংবাদ প্রকাশে নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন Logo গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান সবুজ শারীরিকভাবে অসুস্থ — সুস্থতার জন্য দোয়ার আহ্বান Logo সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনসহ পুলিশের ১৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত

আমতলিতে জমিদার পত্তনীদের বিরুদ্ধে ভুয়া জাল দলিল করে জমি দখলের পায়তারা, অসহায় হাফেজার আর্তনাদ

  • Kagojer Dak
  • আপডেট সময় : ০১:০৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫০৩ বার পড়া হয়েছে

 

কেএম খায়রুল ইসলাম বাদল, বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনার আমতলীতে অবৈধ দখলকারী কর্তৃক সৃজিত জাল জালিয়াতি দলিল রেকর্ড মূলে জমিদার কুঞ্জ কামিনী শাহা গংদের প্রদত্ত প্রজা জোনাব আলী হাওলাদারের বর্তমান ওয়ারিশ হাফেজা বেগমের দখলিও জমি জোরপূর্বক জবরদখল করছেন খোকন হাওলাদার গং নামের ব্যক্তিরা। এমনটাই অভিযোগ করেছেন আমতলী উপজেলার আরপাংগাশিয়া ইউনিয়নের ঘোপখালির জমিদার প্রজাপত্তনের ওয়ারিশ হাফেজা বেগম।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ঘোপখালি মৌজার আর/এস-২৩৫ নং খতিয়ানের ৩২.৯৫ একর জমির ২১ টি দাগে জমিদার পরিবার কুঞ্জ কামিনী সাহা গং মালিক দখলদার থেকে ৯.২৯ একর জমি ঘোপখালি গ্রামের হাফেজা বেগমের পূর্বপুরুষ জোনাব আলী গংদের বরাবরে প্রজাপত্তন করে দখল সত্ব দিলে আর/এস – ২৩৯ নং খতিয়ানে মোট ২১ টি দাগে ৪.৭১ একর জমির অংশে ৪.৪৮ একর জমি প্রজা মোসা: হাফেজা বেগমের পূর্ববর্তী জোনাব আলী প্রজা গংদের নামে রেকর্ড ভুক্ত হয়। কিন্তু প্রজাপত্তন মূলে হাফেজা বেগমের পূর্ববর্তী জোনাব আলী গংদের নামে ৪.৪৮ একর জমি রেকর্ড ভুক্ত হইলেও দখল সূত্রে মালিক জোনাব আলি গং ৯.২৯ একর ভোগ দখলে বিদ্যমান ছিল কিন্তু এসএ জরিপে জোনাবআলী গংদের পূর্ববর্তী জমিদার পরিবারদের নামে ৪.৫৮ একর জমি ২৭৬ নং খতিয়ানে এসএ রেকর্ড ভুক্ত হয় নাই।
যাহা অত্র হাফেজা বেগমের জমিদারদের বসানো প্রজামূলে ১৯৭০ সাল অবধি ভোগ দখলে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছেন।

সরজমিনে দেখা যায় যে জমি জবর দখলকারী ভূমি খেকো ভূমি সন্ত্রাসী,ভূমিদস্যু খোকন হাওলাদার গং ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের পরে আনুমানিক ১৯৭০ থেকে ৯০ দশকে বিরোধী ও জমিতে বেআইনিভাবে অবৈধ দখলদার হচ্ছেন। পরবর্তীতে অবৈধ দখলকারীরা নামে বেনামে জাল জালিয়াতি করে কাগজপত্র তৈরি করে সালিশ বৈঠকে কখনো ভুয়া নাম জারি রেকর্ড কখনো ভুয়া কবুলিয়ত উপস্থাপন করছেন। হাফেজা বেগম গংরা বিবাদীদের অবৈধ দখলদারীদের নামীয় কবিলের দলিল এবং নামজারি রেকর্ড এর ফটোকপি চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। এতে স্পষ্ট প্রমাণ থাকে যে বিবাদি খোকন হাওলাদার গং তাদের কাগজপত্রে জাল জালিয়াতির ছাপ রয়েছে। এ বিষয়ে বাদী হাফেজা নিরুপায় হয়ে নালিশি জমির বিষয়ে বিজ্ঞ আমতলী সহকারী জজ আদালতে দেং ১৬৯ /০২৪(আম) নং মোকদ্দমায় অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা সহ শোকজ এর আদেশ বিদ্যমান থাকার পরেও জবরদখোর, ভূমিদস্য খোকন হাওলাদার গং আদালতের নিষেধাজ্ঞ অবমাননা করে অবৈধভাবে জমি জবর দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে। সরজমিনে দেখা গেছে ওই এলাকার লোকজনেরা এ ব্যাপারে তাদের গালমন্দ দেয়।

এ ব্যাপারে বাদী হাফেজ হাফেজ বেগম বলেন,আমাদের পরিবারের যতগুলো লোক আছে আমরা সবাই অসহায়, আমার দাদা জমিদার বাড়ির গোলামী করতেন। আর তৎকালীন সময় জমিদাররা আমাদের অসহায়ত্ব দেখে আমাদের প্রজা হিসেবে আমাদের নামে জমি দিয়ে যান। আর সেই জমিতে খোকন হালদার গঙ্গায়রা ভুয়া বানোয়াট ও জাল জালালিয়াতি করে কাগজপত্র বানিয়ে আমাদের সাথে মোকাবেলা করেন।

এ ব্যাপারে মো: খোকন হালদার বলেন,আমাদের জমি জমা সঠিক আমরা কাগজপত্র দেখাতে চাই কিন্তু সময়ের ব্যাপার।

এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শদানকারী এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, এ বিরোধীও জমিতে আদালতে মামলা রয়েছে সে ক্ষেত্রে এ জমিতে উভয় পক্ষের কেহই জমি ভোগ দখল করিতে পারিবেন না। যেহেতু আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খান বলেন,জমি-জমার বিষয় নিয়ে আদালতে কোন মামলা থাকে তাহলে আদালত যে সিদ্ধান্তে উপনিত হবে সেটাই উভয় পক্ষদ্বয় মেনে নিতে হবে।আর যদি কেউ জাল দলিল করে জমি ভোগ দখল করার চেষ্টা করে। তবে অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

জনপ্রিয় সংবাদ

গলাচিপায় মিথ্যে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন 

আমতলিতে জমিদার পত্তনীদের বিরুদ্ধে ভুয়া জাল দলিল করে জমি দখলের পায়তারা, অসহায় হাফেজার আর্তনাদ

আপডেট সময় : ০১:০৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

 

কেএম খায়রুল ইসলাম বাদল, বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনার আমতলীতে অবৈধ দখলকারী কর্তৃক সৃজিত জাল জালিয়াতি দলিল রেকর্ড মূলে জমিদার কুঞ্জ কামিনী শাহা গংদের প্রদত্ত প্রজা জোনাব আলী হাওলাদারের বর্তমান ওয়ারিশ হাফেজা বেগমের দখলিও জমি জোরপূর্বক জবরদখল করছেন খোকন হাওলাদার গং নামের ব্যক্তিরা। এমনটাই অভিযোগ করেছেন আমতলী উপজেলার আরপাংগাশিয়া ইউনিয়নের ঘোপখালির জমিদার প্রজাপত্তনের ওয়ারিশ হাফেজা বেগম।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ঘোপখালি মৌজার আর/এস-২৩৫ নং খতিয়ানের ৩২.৯৫ একর জমির ২১ টি দাগে জমিদার পরিবার কুঞ্জ কামিনী সাহা গং মালিক দখলদার থেকে ৯.২৯ একর জমি ঘোপখালি গ্রামের হাফেজা বেগমের পূর্বপুরুষ জোনাব আলী গংদের বরাবরে প্রজাপত্তন করে দখল সত্ব দিলে আর/এস – ২৩৯ নং খতিয়ানে মোট ২১ টি দাগে ৪.৭১ একর জমির অংশে ৪.৪৮ একর জমি প্রজা মোসা: হাফেজা বেগমের পূর্ববর্তী জোনাব আলী প্রজা গংদের নামে রেকর্ড ভুক্ত হয়। কিন্তু প্রজাপত্তন মূলে হাফেজা বেগমের পূর্ববর্তী জোনাব আলী গংদের নামে ৪.৪৮ একর জমি রেকর্ড ভুক্ত হইলেও দখল সূত্রে মালিক জোনাব আলি গং ৯.২৯ একর ভোগ দখলে বিদ্যমান ছিল কিন্তু এসএ জরিপে জোনাবআলী গংদের পূর্ববর্তী জমিদার পরিবারদের নামে ৪.৫৮ একর জমি ২৭৬ নং খতিয়ানে এসএ রেকর্ড ভুক্ত হয় নাই।
যাহা অত্র হাফেজা বেগমের জমিদারদের বসানো প্রজামূলে ১৯৭০ সাল অবধি ভোগ দখলে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছেন।

সরজমিনে দেখা যায় যে জমি জবর দখলকারী ভূমি খেকো ভূমি সন্ত্রাসী,ভূমিদস্যু খোকন হাওলাদার গং ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের পরে আনুমানিক ১৯৭০ থেকে ৯০ দশকে বিরোধী ও জমিতে বেআইনিভাবে অবৈধ দখলদার হচ্ছেন। পরবর্তীতে অবৈধ দখলকারীরা নামে বেনামে জাল জালিয়াতি করে কাগজপত্র তৈরি করে সালিশ বৈঠকে কখনো ভুয়া নাম জারি রেকর্ড কখনো ভুয়া কবুলিয়ত উপস্থাপন করছেন। হাফেজা বেগম গংরা বিবাদীদের অবৈধ দখলদারীদের নামীয় কবিলের দলিল এবং নামজারি রেকর্ড এর ফটোকপি চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। এতে স্পষ্ট প্রমাণ থাকে যে বিবাদি খোকন হাওলাদার গং তাদের কাগজপত্রে জাল জালিয়াতির ছাপ রয়েছে। এ বিষয়ে বাদী হাফেজা নিরুপায় হয়ে নালিশি জমির বিষয়ে বিজ্ঞ আমতলী সহকারী জজ আদালতে দেং ১৬৯ /০২৪(আম) নং মোকদ্দমায় অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা সহ শোকজ এর আদেশ বিদ্যমান থাকার পরেও জবরদখোর, ভূমিদস্য খোকন হাওলাদার গং আদালতের নিষেধাজ্ঞ অবমাননা করে অবৈধভাবে জমি জবর দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে। সরজমিনে দেখা গেছে ওই এলাকার লোকজনেরা এ ব্যাপারে তাদের গালমন্দ দেয়।

এ ব্যাপারে বাদী হাফেজ হাফেজ বেগম বলেন,আমাদের পরিবারের যতগুলো লোক আছে আমরা সবাই অসহায়, আমার দাদা জমিদার বাড়ির গোলামী করতেন। আর তৎকালীন সময় জমিদাররা আমাদের অসহায়ত্ব দেখে আমাদের প্রজা হিসেবে আমাদের নামে জমি দিয়ে যান। আর সেই জমিতে খোকন হালদার গঙ্গায়রা ভুয়া বানোয়াট ও জাল জালালিয়াতি করে কাগজপত্র বানিয়ে আমাদের সাথে মোকাবেলা করেন।

এ ব্যাপারে মো: খোকন হালদার বলেন,আমাদের জমি জমা সঠিক আমরা কাগজপত্র দেখাতে চাই কিন্তু সময়ের ব্যাপার।

এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শদানকারী এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, এ বিরোধীও জমিতে আদালতে মামলা রয়েছে সে ক্ষেত্রে এ জমিতে উভয় পক্ষের কেহই জমি ভোগ দখল করিতে পারিবেন না। যেহেতু আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খান বলেন,জমি-জমার বিষয় নিয়ে আদালতে কোন মামলা থাকে তাহলে আদালত যে সিদ্ধান্তে উপনিত হবে সেটাই উভয় পক্ষদ্বয় মেনে নিতে হবে।আর যদি কেউ জাল দলিল করে জমি ভোগ দখল করার চেষ্টা করে। তবে অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।