
- মো: রাজন বিশ্বাস, সংবাদদাতা বরগুনা।।
আর মাত্র ৫ দিন পরেই বিজয় দিবস বা ১৬ ডিসেম্বর।
বলার ভাষায় তবে আমরা ১৬ ডিসেম্বর কথাটি বেশি উচ্চারণ করি।আর মাত্র ৫ দিন পরেই স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের পরপরই মহান বিজয় দিবসের ঐতিহাসিক চেতনার দিন হিসেবে ১৬ ডিসেম্বরের পতাকা উড়িয়ে আনন্দ উল্লাসের বাতাসে মুখরিত হয় প্রতিবছর এ দিনটিতেই।
আসন্ন ১৬ ডিসেম্বরের বাকি ৫ দিন।সারাদেশের ন্যায় বরগুনার আমতলী উপজেলার পাড়া-মহল্লা ও স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে শহরের অলিগলিতে দিবসি পতাকা বিক্রেতারাও হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি করছেন দেশের জাতীয় পতাকা।দেখা গেছে ১১ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১১টার দিকে আমতলী পৌরসভার একেস্কুল রোডে দেখা যায় আবুল বয়াতি নামের এক দিবসি পতাকা বিক্রেতাকে।
বিজয়ের চেতনায় বিজয়ের মাসের শুরু থেকে জাতীয় পতাকা বিক্রির উৎসব শুরু হয়ে চলে বিজয় দিবস পর্যন্ত। বিজয়ের মাসে বাড়ির ছাদে এমনকি বিভিন্ন ব্যক্তিগত গাড়িতে লাল-সবুজের পতাকা উড়তে দেখা যায়।
দিবসি পতাকা বিক্রেতা আবুল বয়াতি তিনি বলেন, মাদারীপুরের জেলার শিপচর উপজেলা নিখলি ইউনিয়ন থেকে এসেছেন তিনি। সে পেশায় একজন গৃহকর্তা হলে বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে তিনি । ৫ বছর যাবৎ বিজয় মাস আসলেই জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করেন।
তিনি গত বছর প্রতিদিন ৩০০০ থেকে ৩৫০০০ টাকা বিক্রি হয়। বিজয়ের মাসে সবাই পতাকা কিনে তাই ব্যবসাটাও ভালো হয়েছে। এবছর দিবসি পতাকা বেল্ট লোগো,ফিতা,ক্যাপ ও ব্যাচ বিক্রি শুরু করেছেন তবে এখন পর্যন্ত আয় ব্যায়ের হিসেবে জানাতে পারছেন না তিনি।
দিবসি পতাকা কিনতে আসা আমতলী কওমি মাদ্রাসার ২ শ্রেনির ছাত্র মো:শাহনুর রহিম রিসাদ বলেন,আমি দেশকে ভালবাসি তাই দেশের পতাকা আমার প্রিয়।
দিবসি পতাকা ক্রেতা মো: যুবায়ের পঞ্চায়েত , বিজয়ের মাস তাই পতাকা কিনেছি।রক্ত দিয়ে মানুষ যুদ্ধ করে এই লাল-সবুজ পতাকার বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। এই পতাকা আমরা বুকে ধারন করে রাখতে চাই।
এ ব্যাপারে বীরমুক্তিযোদ্ধা মো:মনিরুল ইসলাম তালুকদা বলেন,বাংঙ্গালী জাতির ত্যাগে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে এই লাল-সবুজের বাংলাদেশ পেয়েছি। শুধু এই ১৬ ডিসেম্বর আসলে বিজয়কে মনে রাখতে হবে সেটা যেন না হয় পাশাপাশি সকল শহিদদেরও মনে করে তাদের জন্য দোয়া কামনা করা একান্ত দরকার। অনেক শহীদদের রক্তে অর্জন করতে হয়েছে এই বাংলাদেশকে।