ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এইমাত্র পাওয়াঃ
Logo গলাচিপায় মিথ্যে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo চেয়ারম্যান হতে মরিয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ মেম্বার সাঈদ! Logo গলাচিপায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo কোড়ালিয়া স্পীড বোট ঘাটে চাঁদার দাবিতে হামলা আহত ৩ Logo দুই শিশু নিখোঁজ, পাচারের অভিযোগে যুবক আটক Logo শাহজাদপুরে সাব্বির হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবনসহ ১৫ জনের কারাদণ্ড Logo গলাচিপায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি,প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট Logo আমতলীতে মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বানোয়াট সংবাদ প্রকাশে নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন Logo গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান সবুজ শারীরিকভাবে অসুস্থ — সুস্থতার জন্য দোয়ার আহ্বান Logo সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনসহ পুলিশের ১৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত
কাগজের ডাক:
Logo গলাচিপায় মিথ্যে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo চেয়ারম্যান হতে মরিয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ মেম্বার সাঈদ! Logo গলাচিপায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo কোড়ালিয়া স্পীড বোট ঘাটে চাঁদার দাবিতে হামলা আহত ৩ Logo দুই শিশু নিখোঁজ, পাচারের অভিযোগে যুবক আটক Logo শাহজাদপুরে সাব্বির হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবনসহ ১৫ জনের কারাদণ্ড Logo গলাচিপায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি,প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট Logo আমতলীতে মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বানোয়াট সংবাদ প্রকাশে নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন Logo গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান সবুজ শারীরিকভাবে অসুস্থ — সুস্থতার জন্য দোয়ার আহ্বান Logo সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনসহ পুলিশের ১৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত

পবিত্র কোরআন স্পর্শ করে মিথ্যা বলা যাবে কি?

  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • ৪৯৭ বার পড়া হয়েছে

 নিউজ ডেক্স:
পৃথিবীতে কোরআনের আগেও অনেকে নবী-রাসুলের ওপর আল্লাহ তায়ালা অনেক কিতাব নাজিল করেছেন। কিন্তু সেই সব কিতাব স্বরূপে সংরক্ষিত থাকেনি। নানা ব্যক্তি গোষ্ঠী ও ফেতনার কবলে পড়ে বিকৃত হয়েছে। মানুষের মনগড়া কথাবার্তা দিয়ে পরিবর্তিত হয়েছে।তবে কোরআনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- কোনো মিথ্যা এর পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। না এর সম্মুখ থেকে না পেছন থেকে। (সূরা হা মীম সাজদাহ : ৪২)।

মূলত আল্লাহ তায়ালা নিজেই কোরআন হেফাজত ও সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। এর মাধ্যমে কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষকে তার সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্কের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

হেদায়েতের বাণী কোরআনের পবিত্রতা রক্ষা করা প্রত্যেকের কর্তব্য। কোরআন নিয়ে হাসি-তামাশা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। একইভাবে কোরআনকে গুনাহের মাধ্যম বানানোও সম্পূর্ণ নিষেধ। মানুষের কাছে নিজের কথা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য অনেকে কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা কথা বলে। এটা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্যতম গুনাহের কাজ।

এমনিতেই মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ। এটি মুনাফিকের স্বভাব। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন,

أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ، كَانَ مُنَافِقاً خَالِصاً، وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ، كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْ نِفاقٍ حَتَّى يَدَعَهَا : إِذَا اؤْتُمِنَ خانَ، وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ

চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকবে, সে খাঁটি মুনাফিক গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তির মাঝে তার মধ্য হতে একটি স্বভাব থাকবে, তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকদের একটি স্বভাব থেকে যাবে।

১. তার কাছে আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে।

২. সে কথা বললে মিথ্যা বলে।

৩. ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে।

৪. ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীল ভাষা বলে। (সহীহুল বুখারী ৩৪২, ৪৫৯, ৩১৭৮, মুসলিম ৫৮, তিরমিযী ২৬৩২, নাসায়ী ৫০২০, আবূ দাউদ ৪৬৮৮, আহমাদ ৬৭২৯, ৬৮২৫, ৬৮৪০)

যেকোনও ক্ষেত্রে মিথ্যা বলাকে মুনাফিকের স্বভাব বলা হয়েছে হাদিসে। তাই কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে মিথ্যা বলা আরো জঘন্যতর অপরাধ। হজরত সাহাল ইবনে মিনজাব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

مَنْ حَلَفَ بِسُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ لَقِيَ اللَّهَ بِعَدَدِ آيِهَا خَطَايَا‏

যে ব্যক্তি কোরআন শরিফের কোন একটি সূরার কসম করবে সে ওই সূরার প্রত্যেকটি আয়াতের বদলায় একটি করে গুনাহ নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদীস ১২৩৬০)

তাই এমন জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকা কাম্য সবারই। তবে কেউ কেউ মনে করেন, কোরআন হাতে ছুঁয়ে মিথ্যা বললে ঈমান থাকে না।

এমন ধারণার প্রেক্ষিতে আলেমরা বলেন, কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও বিভিন্ন হাদীসের মধ্যে সমন্বয় করলে যেটা প্রতিভাত হয়, তাহল এই যে, কুফর-শির্ক ব্যতীত অন্য কোন কবিরা গুনাহর কারণে কাউকে কাফির বলা যায় না। বরং এমন ব্যক্তি মুমিন, তবে তার ঈমান অসম্পূর্ণ।

যদি সে তাওবা করে তবে শাস্তি থেকে রেহাই পাবে। আর যদি তাওবা না করে কবিরা গুনাহে লিপ্ত থেকেই মারা যায় তাহলে সে আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমাও করতে পারেন আবার শাস্তিও দিতে পারেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

গলাচিপায় মিথ্যে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন 

পবিত্র কোরআন স্পর্শ করে মিথ্যা বলা যাবে কি?

আপডেট সময় : ০১:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

 নিউজ ডেক্স:
পৃথিবীতে কোরআনের আগেও অনেকে নবী-রাসুলের ওপর আল্লাহ তায়ালা অনেক কিতাব নাজিল করেছেন। কিন্তু সেই সব কিতাব স্বরূপে সংরক্ষিত থাকেনি। নানা ব্যক্তি গোষ্ঠী ও ফেতনার কবলে পড়ে বিকৃত হয়েছে। মানুষের মনগড়া কথাবার্তা দিয়ে পরিবর্তিত হয়েছে।তবে কোরআনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- কোনো মিথ্যা এর পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। না এর সম্মুখ থেকে না পেছন থেকে। (সূরা হা মীম সাজদাহ : ৪২)।

মূলত আল্লাহ তায়ালা নিজেই কোরআন হেফাজত ও সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। এর মাধ্যমে কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষকে তার সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্কের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

হেদায়েতের বাণী কোরআনের পবিত্রতা রক্ষা করা প্রত্যেকের কর্তব্য। কোরআন নিয়ে হাসি-তামাশা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। একইভাবে কোরআনকে গুনাহের মাধ্যম বানানোও সম্পূর্ণ নিষেধ। মানুষের কাছে নিজের কথা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য অনেকে কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা কথা বলে। এটা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্যতম গুনাহের কাজ।

এমনিতেই মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ। এটি মুনাফিকের স্বভাব। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন,

أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ، كَانَ مُنَافِقاً خَالِصاً، وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ، كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْ نِفاقٍ حَتَّى يَدَعَهَا : إِذَا اؤْتُمِنَ خانَ، وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ

চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকবে, সে খাঁটি মুনাফিক গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তির মাঝে তার মধ্য হতে একটি স্বভাব থাকবে, তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকদের একটি স্বভাব থেকে যাবে।

১. তার কাছে আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে।

২. সে কথা বললে মিথ্যা বলে।

৩. ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে।

৪. ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীল ভাষা বলে। (সহীহুল বুখারী ৩৪২, ৪৫৯, ৩১৭৮, মুসলিম ৫৮, তিরমিযী ২৬৩২, নাসায়ী ৫০২০, আবূ দাউদ ৪৬৮৮, আহমাদ ৬৭২৯, ৬৮২৫, ৬৮৪০)

যেকোনও ক্ষেত্রে মিথ্যা বলাকে মুনাফিকের স্বভাব বলা হয়েছে হাদিসে। তাই কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে মিথ্যা বলা আরো জঘন্যতর অপরাধ। হজরত সাহাল ইবনে মিনজাব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

مَنْ حَلَفَ بِسُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ لَقِيَ اللَّهَ بِعَدَدِ آيِهَا خَطَايَا‏

যে ব্যক্তি কোরআন শরিফের কোন একটি সূরার কসম করবে সে ওই সূরার প্রত্যেকটি আয়াতের বদলায় একটি করে গুনাহ নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদীস ১২৩৬০)

তাই এমন জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকা কাম্য সবারই। তবে কেউ কেউ মনে করেন, কোরআন হাতে ছুঁয়ে মিথ্যা বললে ঈমান থাকে না।

এমন ধারণার প্রেক্ষিতে আলেমরা বলেন, কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও বিভিন্ন হাদীসের মধ্যে সমন্বয় করলে যেটা প্রতিভাত হয়, তাহল এই যে, কুফর-শির্ক ব্যতীত অন্য কোন কবিরা গুনাহর কারণে কাউকে কাফির বলা যায় না। বরং এমন ব্যক্তি মুমিন, তবে তার ঈমান অসম্পূর্ণ।

যদি সে তাওবা করে তবে শাস্তি থেকে রেহাই পাবে। আর যদি তাওবা না করে কবিরা গুনাহে লিপ্ত থেকেই মারা যায় তাহলে সে আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমাও করতে পারেন আবার শাস্তিও দিতে পারেন।